এলোমেলো আমি-২৪
এলোমেলো আমি-২৪
এই যে অকারণে মনটা খারাপ হয়ে আছে আমার তার কারণ কি? সেই কারণটা কি খোঁজার খুব একটা দরকার আছে? এই যে মন খারাপ লাগছে আর আমি এক নিমেষে রোদ্দুরের দিকে চেয়ে ছিলাম. সকাল্বেলাতে কী উজ্জল লাগছে চারিদিক! আমার ত্বক খুব শুকিয়ে গেছে. কিছু লাইন মাথার ভিতরে মনের ভিতরে গুনগুন করে উঠলো. আমি খাতাটা তুলে নিয়ে লিখতে শুরু করলাম. লিখলাম. লেখাটা হলো কি হলো না জানি না. হয়ত হলো. আগের মত তো আর জানার ইচ্ছে করে না কে কি বলল. শুধু এক চরম উত্তেজনা কাজ করে লেখার পরেই. মনে হয় বেঁচে থাকাটা সার্থক হলো. কিছু কথা বলতে পারলাম. আরো কিছু কথা.
আমার একটা সমস্যা আছে. আমার সঙ্গে যারা মৌখিক কথা বলে তাদের সঙ্গে আমি যে কী বলি.. তারা যথারীতি ভুল বোঝে. আমি কিন্তু তাদের কোনো ক্ষতি করতে চাইনা. অপমান করতে না, দু:খ দিতে না. আমি শুধু এটুকু বুঝতে পারি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমি কথাটা ঠিক বলতে পারি না. কাজের জগতে কথা বলার একটা বিশেষ ধরন আছে, বিষয় আছে. ফলে আমার অসুবিধা হয় না. কিন্তু যখনি মনের কথা বলতে গেছি, তখনি আমি ব্যর্থ. এর কারণ হিসেবে আমি দেখেছি আমি সবসময়ই আমার মনের সঙ্গে কথা বলতে বিশেষ সাচ্ছন্দ বোধ করি. এবং আমি যদি কোথাও আমার কথা বলতে পারি তবে তা আমার লেখায়. কী আশ্চর্য আমি মানুষের মত না তাহলে! এ কারণে অনেকের সঙ্গেই আমার ভুল বোঝাবুঝি হয়. হয়ত আমার এই ধারাবাহিক ভাবে একা থাকাই এর কারণ.
তাহলে কি আমার ভিড়ের মধ্যে মিশে যাওয়া উচিত? উচিত কেন তবু এমন একাকী না বলে একা থাকার গল্পটাকেই জীবন থেকে দূর করে দেওয়া?
আমার এক বন্ধু বলেছেন এই এলোমেলো আমি লেখা আমার বন্ধ করে দেওয়া উচিত, এতে নাকি আমার ক্ষতি হতে পারে. তা হোক গে যাক. কী আর ক্ষতি হবে! আমি তো কোনো সময়েই মেপে মেপে কোনো কাজ করিনি. এখনো করছি না. আমার মনে যা আসছে আমি লিখে রাখছি.
যাই হোক.
অনেক মদ খেলে যেরকম মাথাটা থাকে আমার মাথাটা তেমন এখন. কী একটা ঘোরের মধ্যে রয়েছি. এই ঘোর আমার পরিচিত অনেকেই ঠিক পছন্দ করতে পারেন না. তাতে আমার কিছু করার নেই. এই যে আমি এখন কোথাও যাই না. শুধু নিজের মধ্যে থাকি.. মাঝেমাঝে শুধু মনে হয় দুরে কোথাও বেরিয়ে পড়ি. তাও একা একা. আসলে একা ঘোরার মধ্যে একটা সুন্দর ব্যাপার আছে. যে জায়গায় যাই, সেখানকার সঙ্গে আমার আত্মা কথা বলে. সেখানকার রাস্তার বাঁক, গাছ, মানুষের মুখ, বিমর্ষ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বাড়ি, তার ভিতর থেকে ঠিকরে আসা মানুষের গল্প, টুকরো টাকরা কথাবার্তা, আলোর আভাষ, অন্ধকার- আলোর লুকোচুরি, গন্ধ, - সব কিছুর সঙ্গে আমার একটা সম্পর্ক তৈরী হয়. এই সম্পর্কটা আমাকে ঋদ্ধ করে.
গতকাল অনেকদিন পর অলোকদার সঙ্গে কথা হলো. কবি অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত.
কিন্তু যার টেলিফোন আসার কথা তার টেলিফোন আসেনি.
হয়ত আসবেও না কখনো. আমার মনের মধ্যে এখন একটা সোঁদা মাটির রাস্তা ছুটে চলেছে.
তুমি কি আসছো?
(ক্রমশ)
আমার মনে হয় নাস্তিকতাও এক ধরনের বিশ্বাস। আর নাস্তিকতা থেকেও মৌল্বাদীতার সৃষ্টি হতে পারে। নাস্তিকতা মানুষকে খুব বেশী কল্পনা করতে দেয় না। হেমন্তের বিকেল আমারও খুব প্রিয়। তবে আমার বিশ্বাস যাত প্রতীক্ষায় আছেন সে আসবে। নিশ্চই আসবে।
ReplyDeleteHmm jani tai toh apekkhate achhi
ReplyDelete